ধন্যা কুমারী মারীয়া স্বর্গান্নয়ন, মহাপর্ব
ধন্যা কুমারী মারীয়া স্বর্গান্নয়ন, মহাপর্ব
"এখন থেকে যুগে যুগে সকলে আমাকে সুখী বলবে"
লুক
রচিত-মঙ্গলসমাচার ১,৩৯—৫৬
সেসময়ে মারীয়া সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয়ে পার্বত্য অঞ্চলে যুদার একটা শহরের দিকে যত শীঘ্রই যাত্রা করলেন ।
জাখারিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে এলিজাবেথকে অভিবাদন জানালেন । তখন এমনটি ঘটল যে, এলিজাবেথ মারীয়ার অভিবাদন শোনামাত্র তাঁর গর্ভে শিশুটি লাফিয়ে উঠল; এলিজাবেথ পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন ও উচ্চকণ্ঠে বলে উঠলেন, ‘নারীকুলে তুমি ধন্যা, এবং ধন্য তোমার গর্ভফল। আমি কে যে আমার প্রভুর মা আমার কাছে আসবে? দেখ, তোমার অভিবাদন আমার কানে ধ্বনিত হওয়ামাত্র শিশুটি আমার গর্ভে আনন্দে লাফিয়ে উঠল; আহা, সুখী সেই জন যে বিশ্বাস করেছে! কারণ প্রভু দ্বারা তাকে যা বলা হয়েছে, তা সিদ্ধিলাভ করবে ।’
তখন মারীয়া বললেন:
‘প্রভুর মহিমাকীর্তন করে আমার প্রাণ, আমার ত্রাতা পরমেশ্বরে আমার আত্মা করে উল্লাস, কারণ তাঁর দাসীর নিম্নাবস্থার দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন তিনি, কেননা দেখ, এখন থেকে যুগে যুগে সকলে আমাকে সুখী বলবে; কারণ আমার জন্য মহা মহা কাজ করেছেন সেই শক্তিমান —পবিত্রই তাঁর নাম; আর যারা তাঁকে ভয় করে, তাদের প্রতি তাঁর দয়া যুগযুগস্থায়ী ।
তিনি পরাক্রম সাধন করেছেন আপন বাহুবলে, গর্বিতদের বিক্ষিপ্ত করেছেন তাদের হৃদয়ের মতলবে; ক্ষমতাশালীদের নামিয়ে দিয়েছেন সিংহাসন থেকে, নিম্নাবস্থার মানুষকে করেছেন উন্নীত; ক্ষুধার্তদের পরিতৃপ্ত করেছেন মঙ্গলদানে, ধনীদের ফিরিয়ে দিয়েছেন শূন্য হাতে ।
আপন দয়া স্মরণ ক’রে তাঁর দাস ইস্রায়েলের সহায়তা করেছেন তিনি, যেমনটি বলেছিলেন আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে, আব্রাহাম ও তাঁর বংশের কাছে, চিরকাল ।’
মারীয়া তাঁর সঙ্গে প্রায় তিন মাস থাকলেন, পরে বাড়ি ফিরে গেলেন ।
Comentarios
Publicar un comentario